এবারের এশিয়া কাপ হকির আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের বিহারের রাজগীরে। মোট ৮ দলের অংশগ্রহণে হওয়া এ আসরে শেষ মুহুর্তে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতে হওয়ার কারণে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল পাকিস্তান। এশিয়া কাপ খেলে স্থান নির্ধারণীতে ষষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশ দল। নিয়ম অনুযায়ী এশিয়া কাপের ষষ্ঠ অবস্থানে পর্যন্ত থাকা দলগুলো বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ পাবে।
২০২৬ সালে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে বসতে যাচ্ছে হকির পরবর্তী বিশ্বকাপ। তার আগে দলগুলোকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব। এশিয়া কাপে ষষ্ঠ হওয়ায় সরাসরি বাছাইপর্ব খেলার কথা বাংলাদেশের। তবে তার আগে আরও একটি বাঁধা টপকাতে হবে আমিরুল বাবুর দলকে। রাজনৈতিক কারণে সেই ধরাবাঁধার মধ্যে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে এবং এর থেকৈ উৎরানোর পথ আছে।
ভারতে খেলতে গিয়ে পুল ‘বি’তে তৃতীয় এবং স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ষষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান ভারতে খেলতে না গেলেও এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) তাদের জন্য আরেকটি সুযোগ রেখেছে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলার জন্য আসরের ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা দলটির সাথে তিন ম্যাচের একটি সিরিজ খেলবে ভারতের প্রতিবেশী। তিন ম্যাচের সিরিজে শিরোপা যাদের হাতে উঠবে, তারাই বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ পাবে।
২০২৫ সালের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ায় হয়েছিল এশিয়া কাপের বাছাইপর্বের আসর। সেখানে সেমিফাইনালে ওমানের কাছে হেরে আসর থেকে বাদ পড়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তান সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও শেষ মুহুর্তে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আসর থেকে সরে যায় পাকিস্তান। সুযোগটি আসে বাংলাদেশের কাছে, ফেডারেশনও সুযোগটি লুফে নিতে ভুল করেনি।
এশিয়া কাপের আসরে মালয়েশিয়ার কাছে ৪-১ গোলের হার দিয়ে আসরের সূচনা হয় বাংলাদেশের। এরপর চাইনীজ তাইপেকে ৮-৩ গোলে হারানোর পর আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাউথ কোরিয়ার কাছে ৫-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। স্থান নির্ধারণী দুটি ম্যাচের প্রথমটিতে কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারালেও শেষ ম্যাচে জাপানের কাছে বাংলাদেশ হারে ৬-১ গোলে।
