বিবিসির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ‘এআই অডিও তৈরির’ অভিযোগ আওয়ামী লীগের

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও তৈরির অভিযোগ এনেছে আওয়ামী লীগ।

দলটির দাবি, শেখ হাসিনার মানহানি করতে ও তার বিরুদ্ধে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করতে ‘পরিকল্পিতভাবে ভিত্তিহীন’ অডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

এর পিছনে আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও অন্তর্বর্তী সরকারের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সরকার ও বিবিসির বক্তব্য জানতে পারেনি বাংলা ইনসাইট টোয়েন্টিফোর ডটকম।

২০২৪ সালের কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রায় এক বছর পর বিবিসির একটি প্রতিবেদন বুধবার বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।

তাতে শেখ হাসিনার ১৮ সেকেন্ডের একটি অডিও যাচাই করে সত্যতা পাওয়ার তথ্য দেয়া হয়, যেখানে আন্দোলন থামাতে গুলি করার কথা বলতে শোনা যায়।

আলোচিত এই প্রতিবেদনকে ‘অসত্য ও বিকৃত’ দাবি করে বুধবার রাতে বিবৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

প্রতিবেদনে ‘গ্রহণযোগ্যতার চেয়ে পক্ষপাতের ছাপ’ থাকার অভিযোগ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

“এই ভিত্তিহীন অডিও ক্লিপের কোনো প্রাপকও নেই। অডিওটি সত্যি হলে তার প্রাপকও সুনির্দিষ্ট কেউ হতো”, বলছে আওয়ামী লীগ।

বিবিসির অডিও যাচাই ও সংবাদ উপস্থাপনের প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আওয়ামী লীগ।

দলটির বিবৃতিতে বলা হয়, “বিবিসি যে অডিও ফরেনসিক ফার্মের মাধ্যমে এটির সত্যতা তদন্ত করেছে, তারাও শতভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি।

“এমনকি ক্রস চেক করার জন্য এখানে বিপরীত ভাষ্য অর্থাৎ শেখ হাসিনার পক্ষের কারও বক্তব্য তুলে ধরা হয়নি।”

আওয়ামী লীগ বলছে, ‘সাংবাদিকতার নীতি উপেক্ষা করে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে’ শেখ হাসিনার উপর ‘দায় চাপানোর চেষ্টা’ করেছে বিবিসি।

“এই প্রতিবেদনে অভিযোগের উৎস হিসেবে সরকারের আজ্ঞাবহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারঘনিষ্ঠ প্রসিকিউটরদের বেছে নেওয়া হয়েছে, যাদের অতীতে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কাজ করার ইতিহাস আছে”, বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে।