ঢাকায় গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরদিন জেলায় জেলায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ পর্যন্ত ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও রাজশাহীতে জাপা কার্যালয় ভাংচুরের তথ্য পাওয়া গেছে। এসময় হামলায় গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।
শুক্রবার রাতে জাপার রাজশাহী জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়।
শনিবার সকালে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয় টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয়।
জাতীয় পার্টির অভিযোগ, দুটি রাজনৈতিক দল জাপা কার্যালয়ে ভাংচুরে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
দলটির কেন্দ্রীয় একজন নেতা বাংলা ইনসাইট টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজনীতির ব্যানারে যে টোকাইরা দেশকে মব ও সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করতে চাচ্ছে- তারাই এসব কাজ করছে। আমরা আশা করি, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বিষয়গুলো দেখবে।”
“ভোট হলে এসব সন্ত্রাসীকে জনগণ ছুড়ে ফেলে দিবে। সেজন্য তারা নৈরাজ্য করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এই জালিমদের সময়মত জবাব দিবে।”
শুক্রবার রাতে জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ালে ঢাকার কাকরাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে। সেসময় গণ অধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নূর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের লাঠিচার্জে আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করছেন গণ অধিকার পরিষদের কর্মীরা।
