৬ বছর পর ট্রাম্প-শি বৈঠক, শুল্কারোপসহ কি বিষয়ে আলোচনা হলো?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সাউথ কোরিয়ার বুসান শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠক শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর মুখোমুখি এই বৈঠকে দুই নেতার কথা হয় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে।

দুর্লভ খনিজে নতুন এক বছরের সমঝোতা চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ছয় বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি বৈঠকে বসার পর এই চুক্তিতে পৌঁছায় দেশ দুটি। এছাড়া চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করেছেন ট্রাম্প।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বৈঠকে আলোচ্য প্রধান বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। তারমধ্যে ছিল, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক, ফেন্টানিল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের প্রবাহ রোধে যৌথ পদক্ষেপ, চীনের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন রপ্তানি পুনরায় চালু, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির জন্য সেমিকন্ডাক্টর বাণিজ্য এবং জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত।

এসব আলোচনার মধ্যে চীনা পণ্যের ওপর ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন ট্রাম্প। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে শতভাগ সিদ্ধান্ত এসেছে বলেও জানান দুই নেতা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর চীনা সমকক্ষ শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠককে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, দুই নেতা ‘প্রায় সব বিষয়ে একমত’ হয়েছেন।

বৈঠক শেষে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছি, যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। আমরা বাণিজ্য ও নিরাপত্তা উভয় ক্ষেত্রেই পারস্পরিক বোঝাপড়ায় পৌঁছেছি। খুব শ্রীঘ্রই একটি আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক চুক্তি হবে।

ট্রাম্প আরো বলেন, আমাদের মধ্যে একটা বাণিজ্যিক চুক্তি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিবছর এটা আমরা পুনর্বিবেচনা করবো। এছাড়া শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চীনের পক্ষ থেকে বৈঠক সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, আলোচনায় ‘গঠনমূলক অগ্রগতি’ হয়েছে।

তবে, আগামী বছরের এপ্রিলে চীন সফরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা চীনা প্রেসিডেন্টও জানিয়েছেন শ্রীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোটের (আসিয়ান) ৪৭তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এ সপ্তাহের শুরুতে মালয়েশিয়ায় আসেন ট্রাম্প। সেখান থেকে তিনি জাপান যান, তারপর সাউথ কোরিয়ায়। এরপর সাউথ কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন।