রাবি প্রতিনিধি:
প্রচারণার শেষ দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার-প্রচারণা করতে দেখা যায় প্রার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বর, আমতলা এলাকা ও বিভিন্ন অনুষদের সামনে গিয়ে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘শেষ দিন হিসেবে আমরা সকাল থেকে প্রচারণা শুরু করেছি। বার বার নির্বাচন পেছানোর ফলে সময় দীর্ঘায়িত হয়েছে, ফলে আমরা মোটামুটি সকল শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পেয়েছি।
“দীর্ঘ ৩৫ বছর পর নির্বাচনের ফলে উৎসবের আমেজটা একটু বেশি। শিক্ষার্থীদের থেকেও আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। ডাকসু-জাকসুর মতো রাকসুতেও শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের ওপর আস্থা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।”
ছাত্রদল মনোনীত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন বলেন, “আমাদের প্যানেল অন্যান্য প্যানেলগুলোর থেকে ইনক্লুসিভ হয়েছে। আমরা প্যানেলে খেলোয়াড়, জুলাই যোদ্ধা থেকে শুরু করে সকল সেক্টরের শিক্ষার্থীদের রেখেছি। যোগ্য ব্যক্তিদের যোগ্যস্থানে রেখেছি।
“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিল। আমরা তাদেরও রেখেছি। শিক্ষার্থীরাও আমাদের প্যানেলে প্রশংসা করছে। আশা করছি ১৬ তারিখ আমাদের বিজয় হবে।”
ইসলামি ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের এজিএস প্রার্থী সালমান সাব্বির বলেন, “শেষ দিনের প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের যে পরিমাণ সাপোর্ট ও ভালোবাসা আমরা পেয়েছি, তা আমাদের কাজের অনুপ্রেরণাকে আরও বৃদ্ধি করছে। ইনশাআল্লাহ, ১৬ তারিখে শিক্ষার্থীরা যোগ্য প্রার্থীদেরই বিজয়ী করবেন।”
নির্বাচনী আমেজে উচ্ছ্বসিত হয়ে হাসিবুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিগত কয়েক দিনের চেয়ে আজকে প্রচার-প্রচারণা বেশি ছিল। আজকে সত্যিই মনে হচ্ছে, সামনে একটি নির্বাচন আছে।”
রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা আগে প্রচারণা শেষ করতে হবে প্রার্থীদের। ফলে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে।
এরপর ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে এবং একই দিনে ১২-১৫ ঘন্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
