এশিয়া কাপ ঘিরে টাইগার সমর্থকদের বড় আশা থাকলেও দলের পারফরম্যান্স হতাশাই তৈরি করছে। ফলে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠার সম্ভাবনাই এখন মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
শনিবার রাতে লিটন দাসরা শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হারায় তাদের গ্রুপ পর্ব পেরুনোর সমীকরণ অনেক যদি-কিন্তুর ওপর নির্ভর করছে। যে হিসেবে মেলানো বাংলাদেশের জন্য কঠিনই হবে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘বি’ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে শুরুতেই ধ্বস নামে। মাত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারায় লিটন দাসরা। শেষদিকে জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসাইনের ৮৬ রানের জুটি দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচায়।
তবে ১৩৯ রানের পুঁজি শ্রীলঙ্কাকে কোন চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি। আসালাঙ্কার দল তা পেরিয়ে যায় ১৫ ওভারেই। যা বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার সম্ভাবনাকে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
তবুও লিটন দাসের দল এখনও সুপার ফোরে উঠতে পারে। সেজন্য বাংলাদেশের গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানো জরুরি, যা এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে কঠিন। কারণ আফগানরা টি-২০তে ভালো প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ কিভাবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠতে পারে?
বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার ক্ষেত্রে ২ ধরণের সমীকরণের কোন একটি মিলতে হবে।
সমীকরণ- ১
যদি আফগানিস্তান বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা— দুই দলের কাছেই হারে, তাহলে বাংলাদেশ কোন ঝামেলা ছাড়াই সুপার ফোরে চলে যাবে।
এটি কঠিনই হবে। কারণ রশিদ খানরা বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা- উভয় দলকেই টি-২০তে হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে।
সমীকরণ- ২
যদি বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে হারায় এবং আফগানিস্তান আবার শ্রীলঙ্কাকে হারায়- তাহলে তিন দল (শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান) ৪ পয়েন্টে সমান থাকবে। (শ্রীলংকা দুর্বল প্রতিপক্ষ হংকংকে হারাবে, এমন বিবেচনায়)
সে ক্ষেত্রে নেট রান রেট হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেরা দুই নেট রান রেটধারী দল যাবে সুপার ফোরে।
এই মুহূর্তে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা- ২ দলই রান রেটে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।
ফলে বলা যায়- বাংলাদেশের জন্য গ্রুপ পর্ব পেরুনো বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়েই দাঁড়িয়েছে।
