এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২৩: শেষ মিনিটের গোলে বাংলাদেশের হার

এএফসি এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২৩ ছেলেদের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচের ইয়েমেনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ৮৭ মিনিটে ইয়েমেনের হামজা আহমেদকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন মজিবর রহমান জনি। ৯৪ মিনিটে গোল করে ইয়েমেনকে জয় উপহার দেন মোহামেদ ইসাম আল আয়ামি।

তিন ম্যাচের বাছাইপর্বে দুই ম্যাচ খেলে কোনো পয়েন্ট পায়নি বাংলাদেশ, আছে টেবিলের তলানিতে। এ হারে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি শুধু নিয়ম রক্ষার।

প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের বিপক্ষে হারের ভুল থেকে শিখে এদিন বেশ গুছিয়ে খেলার চেষ্টা ছিল বাংলাদেশের। লেফট উইং থেকে ফাহমিদুল ইসলাম ও রাইট উইংয়ে আল আমিনকে রেখে ফরোয়ার্ডে মিরাজুল ইসলামকে রাখেন কোচ মামুন। বল দখল বা আক্রমণের চেষ্টায় বাংলাদেশ থাকলেও প্রথম ২৫ মিনিটে কোনো ফলাফল আসেনি।

ফাহমিদুল ইসলাম ও জায়ান আহমেদ ৩২ মিনিটের সময় ম্যাচের দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ডি বক্সের বাইরে থেকে টপকর্নারের দিকে জোরালো শট করেছিলেন অধিনায়ক শেখ মোরসালিন। তবে ইয়েমেনের গোলকিপার ওসমান আল মকরেফ কর্নারের বিনিময়ে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন, গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র’তে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুদলকে।

বিরতির পর প্রথম আক্রমণ ছিল বাংলাদেশের, তবে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল ইয়েমেন। রাইট উইং দিয়ে বেশ কিছু আক্রমণ করেন ফরোয়ার্ড আল আমিন। ৫৭ মিনিটের সময় মিরাজুল ইসলাম ভালো বল পান ডি বক্সের মধ্যে, সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ৬৬ মিনিটে বাংলাদেশের রাজু আহমেদ জিসান আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন।

খেলার প্রায় শেষ দিকে আক্রমণের পরিমাণ বাড়ায় ইয়েমেন। তবে গত ম্যাচের মত এদিনও শক্ত প্রাচীরের মত দাঁড়িয়ে ছিলেন গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ৮০ মিনিটের সময় গোল হজম থেকে বেঁচে যায় মোরসালিনের দল। ৮৪ মিনিটে ইয়েমেনের আরেকটি গোলের প্রচেষ্টা কর্নারের মাধ্যমে ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। ৮৮ মিনিটে ইয়েমেনর দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন শ্রাবণ।

তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত ৪ মিনিট যোগ করেন রেফারি। সেই চার মিনিটের সময় দলকে আর বাঁচাতে পারেননি শ্রাবণ। মোহামেদ ইসাম আল আয়ামির গোলে ১-০ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। আসরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।