সীমান্তের অন্তত ৬টি পয়েন্টে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী। পাশাপাশি আকাশপথেও হামলা চলছে।
বুধবার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে থাইল্যান্ডের কয়েকজন সেনা সদস্য গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনার শুরু।
এরপর থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করার পাশাপাশি নিজেদের দূতকে কম্বোডিয়া থেকে ফিরিয়ে এনেছে।
এ উত্তেজনাই বৃহস্পতিবার ভোরে সরাসরি সামরিক সংঘাতে রুপ নিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রবীণ সাংবাদিক সয় সুহেপ ঘটনাস্থল থেকে দাবি করেছেন, থাইল্যান্ড ৬টি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করেছে।
দেশটির সেনাবাহিনীর বরাদ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কম্বোডিয়া এই থাই যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া- উভয় দেশই দাবি করছে যে, তারা প্রথমে হামলার শিকার হয়েছে। এরপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই হামলা-পাল্টা হামলায় অস্থির দিন শুরু করেছে প্রতিবেশি দেশ দুটি।
ভিডিও ফুটেজে কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীকে থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালাতে দেখা যায়।
কম্বোডিয়ার সেনারা থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব সুরীন সীমান্তের থাই সেনা ঘাঁটিতেও গুলি চালিয়েছে।
থাই বিমান বাহিনী পরিস্থিতি সামলাত ৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের কথা জানিয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্তবর্তী ৪টি প্রদেশ থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
থাই সেনাবাহিনী বলছে, সকালে দেশটির সুরীন প্রদেশের সেনাঘাঁটিতে কম্বোডিয়ার হামলার পর থেকে গোলাগুলি চলছে এবং ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে ব্যাংকক।
কম্বোডিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক বসতিতে হামলা চালানোর অভিযোগও ওঠেছে। অন্তত ৩ জন সাধারন নাগরিক আহত হওয়ার দাবি করেছে থাইল্যান্ড।
এদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান মানেট থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে কম্বোডিয়ান বাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন।
এর জবাবে কম্বোডিয়াও পাল্টা আঘাত হানছে বলে জানান তিনি।