ফরোয়ার্ড শান্তি মার্ডির হ্যাটট্রিকে মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষেই থাকল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে আফঈদা খন্দকারের দল।
বাংলাদেশ ও ভুটানের নিজেদের তৃতীয় একই ম্যাচে দুবার মাঠ বদলের ঘটনা ঘটেছে। মাঠ বদলালেও পরে ভুটানের বিপক্ষে তারা জিতেছে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। হ্যাটট্রিক করেছেন ফরোয়ার্ড শান্তি মার্ডি।
বাংলাদেশ ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার ম্যাচে বিরতির পর খেলা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। বিরতির পর বাংলাদেশ ও ভুটানের খেলোয়াড়েরা আবারও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তবে এ সময় ম্যাচ কমিশনার আনসার আসিফ তাদের মাঠে নামতে মানা করেন।
মাঠ খেলার অনুপযোগী হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরে মিটিংয়ের এক সিদ্ধান্তে কিংস অ্যারেনার অনুশীলন টার্ফ মাঠটি বেছে নেয় আয়োজকেরা। কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠটি টার্ফের তৈরি, যেখানে পানি জমার আশঙ্কা নেই। সেখানেই অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলও এর আগে অনুশীলন করেছে। এই টার্ফের সুবিধার কারণেই দ্রুত বিকল্প হিসেবে সেটি বেছে নেওয়া হয়।
ম্যাচ শুরুর আগেই আভাস মিলে তুমুল বৃষ্টির। মাঠে বল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টিও। নেপালের বিপক্ষে জয় পাওয়া দলে নয় পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজান ইংলিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। ভুটানের মেয়েদের শুরু থেকেই চাপে রাখে বাংলাদেশ। বৃষ্টির পানি জমে ধীরগতির মাঠে লাল-সবুজদের সফলতা আসে সপ্তম মিনিটে। বক্সের ভেতরে শ্রীমতি তৃষ্ণা রাণীর শট কোনো রকমে থামালেও গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি ভুটানের গোলরক্ষক পেমা। তাতে বল যায় শান্তি মার্ডির কাছে। সেখানে খানিকটা উঁচিয়ে নেয়া শটে লক্ষ্যভেদ করেন শান্তি। তাতে ১-০তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো দল গোলের দেখা পায়নি, ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
মাঠ বদল করে কিংস অ্যারেনার টার্ফ গ্রাউন্ডে খেলা শুরুর পর ৫২ মিনিটে সমতায় আসে ভুটান। ভুটানকে সমতায় আনেন স্যাংগাই ওয়াংমো। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশ শো।
৫৭ মিনিটে শান্তি মার্ডি করেন বাংলাদেশ ও নিজের দ্বিতীয় গোল। ৭৮ মিনিটে এ ফরোয়ার্ড হ্যাটট্রিক পূরণ করার আগে ৭৫ মিনিটে মুনকি আক্তার বাংলাদেশের তৃতীয় গোল করেন। এরপর আর কোনো গোল দিতে পারেনি বাংলাদেশ, জয় আসে ওই ৪-১ ব্যবধানে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ১৭ জুলাই ভুটাবের বিপক্ষেই। ১৯ জুলাই আবার লঙ্কানদের মুখোমুখি হবেন স্বপ্না-সাগরিকারা। ২১ জুলাই নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।