ইউরোপ জুড়ে তাপপ্রবাহ চলমান থাকায় জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। শহরে শহরে রেড এলার্ট জারির পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হাজারো স্কুল, বিনোদন কেন্দ্র।
তীব্র গরমে ইতালিতে ২ জনের মৃত্যুর খবরও এসেছে।
রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, পর্তুগাল এবং জার্মানির মত দেশে। গরম বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য সতর্কতার পাশাপাশি দাবানলের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আগামী কয়েকদিনে ইতালি, গ্রীসসহ ইউরোপের বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ফ্রান্সের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য ফ্রান্সের আবহাওয়া সংস্থা, মেটিও- প্যারিসসহ দেশটির ১৬টি অঞ্চলে রেড এলার্ট জারি করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে: ভ্যাল-ডি’ওয়েস, ইভলিনস, প্যারিস, সেইন-সেন্ট-ডেনিস, ভাল-দে-মারনে, হাউটস-দে-সেইন, সেইন-এট-মারনে, এসোন, অডে, ইয়োনে, লোয়ারেট, লোয়ার-এট-চের, চের, ইন্দ্রে-এট-লোয়ার, ইন্দ্রে এবং ভিয়েন।
গরমের কারণে সারাদিন বন্ধ থাকবে আইফেল টাওয়ার। যানবাহন চলাচলেও বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ফ্রান্স সরকার।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ১ হাজার ৩৫০টি পাবলিক স্কুল আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
পর্তুগাল এবং স্পেনের কিছু অংশে জুনের লাগামহীন গরম জুলাইয়েও অব্যাহত আছে।
এসব এলাকায় চলতি সপ্তাহেই জুনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, পারদ পৌঁছে গিয়েছিল ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এখন সে রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা ৪৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছে।
স্পেনের বার্সেলোনায় গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলিতে এখনো তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে।
তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে এখনও দাবানল জ্বলছে, এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি লোককে নিরাপদ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা জুড়ে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা, ইংল্যান্ডে বুধবার পর্যন্ত গরমের স্বাস্থ্য সতর্কতা বাড়িয়েছে।