বাংলাদেশের মাগুরা ও বাগেরহাট জেলায় পিটিয়ে ২ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বর্বরতার পৃথক এই দুটি ঘটনা ঘটেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে গেল বছর রাজনৈতিক ক্ষমতায় পরিবর্তন আসার পর নিয়মিতই পিটুনিতে মানুষ হত্যার ঘটনা সামনে আসছে। বিভিন্ন মহল থেকে এ ধরণের মব সন্ত্রাস বন্ধের দাবি আসলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
মাগুরায় সালিশে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মাগুরা সদরের বলুক গ্রামে ধান কাটা নিয়ে জমির মালিক শিউলি খাতুনের সঙ্গে দ্বন্ধে জড়ান বর্গা চাষী আনোয়ার হোসেন।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনার সালিশ বৈঠকে শিউলি খাতুনের মামা বাদশা মোল্লাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করেন আনোয়ারের ছেলে আবির।
বাদশা মোল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসী আনোয়ারের বাড়িতে আগুন দেয়।
হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী।
বাগেরহাটে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা
শুক্রবার ভোরে চোর সন্দেহে বাগেরহাটের মোরলগঞ্জে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মিনি পিকআপ নিয়ে একদল ব্যক্তি বলভদ্রপুর গ্রামে গরু চুরি করতে আসেন। গ্রামবাসী ধাওয়া দিলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
পরে চারজনকে ধরে পিটুনি দেওয়ার সময় পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসক মতিয়ার রহমান নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাকি ৩ জনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে মোরলগঞ্জ থানা পুলিশ।
