লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবে ১৮ জনের মৃত্যু, ১৮ বাংলাদেশি উদ্ধার

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবে অন্তত ১৮ শরণার্থী মারা গেছেন। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৮ বাংলাদেশি রয়েছেন।

দেশটির সুরমান উপকূলের কাছে বুধবার ২৯ অক্টোবর এই দুর্ঘটনা ঘটে।

২০১১ সালে গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে লিবিয়া শরণার্থীদের জন্য ইউরোপে প্রবেশের প্রধান রুট হয়ে ওঠেছে।

লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিসহ ইউরোপের অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা চালানো এসব শরণার্থী মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ক্ষুধাপীড়িত দরিদ্র দেশের নাগরিক।

  আরও পড়ুন: যেদেশে সবচেয়ে বেশি অবৈধ শ্রমিক যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে

তবে এ পথে মৃত ও জীবিত শরণার্থী উদ্ধারের তালিকায় বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মত দেশের নাগরিকদের সংখ্যাও ব্যাপকভাবে সামনে আসছে।

যেভাবে ডুবে যায় শরণার্থী নৌকা

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার লিবিয়ার আল জাওয়িয়া বন্দর থেকে শরনার্থীদের নিয়ে কাঠের নৌকাটি যাত্রা শুরু করেছিল।

যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল ঢেউয়ের মুখে নৌকাটি উল্টে যায়।

পরে সেখান থেকে ৬৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মারা যাওয়া ১৮ জনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন ৩১ জন সুদানের, ১৮ জন বাংলাদেশের, ১২ জন পাকিস্তানের এবং ৩ জন সোমালিয়ার নাগরিক।

ইউরোপের পথে মৃত্যু যাত্রা

ভূমধ্যসাগর পৃথিবীর সবচেয়ে ‘মরণ যাত্রার’ রুটে পরিণত হয়েছে। নিয়মিতই ইউরোপের পথে এই সাগরে মৃত্যুর খবর আসছে।

মূলত ইউরোপের উন্নত জীবনের আশায় মৃত্যুর ঝুকি নিয়েই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে চায় শত শত আফ্রো-এশিয়ান শরণার্থী।

আইওএম জানিয়েছে, ২০২৫ সালে কেবল মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটেই ১ হাজার ৪৬ জনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে ৫২৭ জনই লিবিয়া উপকূলে মারা গিয়েছেন।