গাইবান্ধায় গরু কেটে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

গাইবান্ধায় গরু জবাই করে ভাগাভাগি করা ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

তারা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ১১ জনের মধ্যে ৪ গুরতর আক্রান্ত। আক্রান্তরা স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রোগে আক্রান্ত একটি গরু জবাই করে ভাগ করেছিলেন তারা। এরপর থেকেই তাদের শরীরের অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।

অ্যানথ্রাক্সের লক্ষণ কি?

শরীরে ফোসকা দেখা দেওয়া হল অ্যানথ্রাক্সের প্রধান লক্ষণ। অ্যানথ্রাক্সের কারণে শরীরে ঘা হওয়ার পাশাপাশি মাংসে পচনও ধরে। এর সঙ্গে জ্বর, ব্যথা, চুলকানিও দেখা দেয়।

বেলকা ইউনিয়নের মেম্বার হাফিজার রহমান বলেছেন, আক্রান্তদের হাত, মুখ, নাক, চোখে এসব উপসর্গ দেখা গেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম রোগের চিকিৎসক অধ্যাপক মঞ্জুরুল করিম বলেছেন, নিয়মিত চিকিৎসা নিলে অ্যানথ্রাক্স দ্রুত সেরে যায়।

অ্যানথ্রাক্স কিভাবে ছড়ায়?

সুন্দরগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিবাকর বসাক জানান, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশুর সেবা করা, জবাই করা, মাংস কাটা- ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্স ছড়ায়।

তবে এ রোগ মানুষের জন্য সংক্রামক নয়, অর্থাৎ এক জন থেকে অন্য জনের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। এছাড়া আক্রান্ত পশুর মাংস খেলেও অ্যানথ্রাক্স ছড়ায় না।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে গরু-ছাগলের মাঝে অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ বাড়ছে, যা মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়ছে।

সম্প্রতি রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্সে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

অ্যানথ্রাক্স থেকে বাঁচার উপায়

গবাদিপশু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হলে টিকা দিতে হবে। এছাড়া অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু-ছাগল জবাই করা বা মংস কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে।