সুলতান সোলেমানের প্রাসাদে এখন কি হয়? জানুন বিস্তারিত!

সুলতান সোলেমান, ইতিহাসের জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর একটি। বাস্তব আর কল্পনার মিশেলে টিভি পর্দার চরিত্র হয়ে প্রভাবশালী উসমানীয় সুলতান পৌঁছে গেছেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের ঘরে।

সিরিয়াল চরিত্র হিসেবে বাংলাদেশেও বিপুল পরিচিতি রয়েছে সুলতান সুলেমানের, টিভি দর্শকদের বড় অংশই তার ভক্ত। কিন্তু আসল সুলতান সুলেমানকে আমরা কতটা জানি?

সুলতান সোলেমানের প্রাসাদেই-বা এখন কি হয়?

সুলতান সোলেমানের প্রাসাদ এখন যেমন

মরক্কোতে সুলতান সোলেমানের যে প্রাসাদে ছিল তা ১৯১২ সালে পরিণত হয় সামরিক হাসপাতালে।

তবে সময় বদলে গেছে দ্রুত! রাজকীয় প্রাসাদটি এখন আর রাষ্ট্রীয় ধরাবাঁধা নিয়মে আটকে নেই। একেবারে সাধারণ মানুষের নাগালে চলে এসেছে!

বর্তমানে রাজ প্রাসাদটি একটি হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, নাম ফোর সিজনস হোটেল রাবাত। ব্যবস্থাপনা বদলে গেলেও ভবনটি আগের মতই গৌরব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

সুলতান সোলেমানের রাজ প্রাসাটি এখনো মরক্কোর অন্যতম প্রধান ল্যান্ডমার্ক হিসেবেই জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করছে।

২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর এটিকে হোটেল বানানো হয়। দুই হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত হোটেলটিতে রয়েছে মরক্কোর ঐতিহ্যের স্থাপত্য নকশা। সুলতানের যুগের এই নকশার উপাদানের মধ্যে অন্যতম সাবধানে খোদাই করা কাঠের সিলিং।

এখানে ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশনের একটি অন-সাইট বুটিক রয়েছে।

হোটেলের শেফরা দারুচিনির মতো মশলা দিয়ে ঐতিহ্যবাহী মরক্কোর খাবার তৈরি করেন। হোটেলটিতে ২০০টি কক্ষ এবং স্যুট রয়েছে।

কিছু ভাগ্যবান অতিথি সুলতানের শয়নকক্ষে ঘুমানোর সুযোগ পান। কিছু স্যুটের বারান্দায় ব্যক্তিগত পুল লাগানো আছে। এখানে সব ধরনের স্পা-র ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অন্যতম সেরা আকর্ষণ উষ্ণ বালির স্পা।

পুদিনা চা দিয়ে হোটেলে আগত অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়। হোটেলের চা ঘরে একটি কাচের শোকেসের পিছনে থাকে মিষ্টান্ন। হোটেলের রেস্তোরাঁয় সুশির মতো বিভিন্ন ধরনের এশিয়ান খাবারও পরিবেশন করা হয়।

সবমিলিয়ে সুলতান সোলেমানের প্রাসাদ এখন রাজকীয় অতিথিশালায় পরিণত হয়েছে।