যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ হারে শুল্কারোপ ও হুমকি উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াতে চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরেই তেল আমদানি করা হবে বলে দেশটির ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের তেলবাণিজ্য বন্ধ করতে এবং মস্কোকে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে চাপ দিতেই যুক্তরাষ্ট্র নয়াদিল্লির ওপর শাস্তিমূলক বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে জ্বালানি তেল সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে কমে যায় দেশটির জ্বালানি তেল সরবরাহ। তবে, ভারত এসময় রুশ জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে ওঠে। কেননা, ভারতের পরিশোধনকারীরা মস্কো থেকে সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সুবিধা পাচ্ছেন।
এদিকে, রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের কঠোর সমালোচনা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শাস্তি হিসেবে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন ট্রাম্প। যা গত বুধবার (২৭ আগস্ট) ভারতীয় পণ্যের শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
ভারতের তেল ব্যবসায়ীরা বলছে, পরিশোধনকারীরা সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে, যা দৈনিক দেড় থেকে তিন লাখ ব্যারেলের সমান। ভারত বর্তমানে রুশ জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। দেশটির মোট চাহিদার ৪০ শতাংশই পূরণ হয় রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল থেকে। চীন ও তুরস্ক রুশ জ্বালানি তেলের অন্য দুই শীর্ষ ক্রেতা।
