মিয়ানমারে জান্তাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটি গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত। সরকারবিরোধী আন্দোলন কিংবা সরকার বিরোধী গোষ্টীর ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থিত সেনারা। এবার সরকার বিরোধীর আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে দেশটির সেনাবাহিনী মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার হামলা চালিয়েছে। এতে ২০ থেকে ৩০ জন মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং মিডিয়া রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করে এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামে দুবার হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে বৌদ্ধ উৎসব উপলক্ষে সম্প্রদায়ের সদস্যরা জড়ো হয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানালে এই হামলা চালানো হয়।
থাইল্যান্ড ভিত্তিক একটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর মতে, চাউং-ইউ টাউনশিপে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় এবং আবার রাত ১১টায় দুই দফায় হামলা চালানো হয়। এতে ২০ থেকে ৩২ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তবে, সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি,। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মতে, বেসামরিক স্থানে অস্ত্র নিক্ষেপের জন্য মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একটি পরিচিত কৌশল।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বকে অপসারণের পর সামরিক অভ্যুত্থানের পর ২০২১ সাল থেকে সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার, সশস্ত্র বিরোধী দল এবং জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলির মধ্যে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমার।
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, এই সংঘাতে ৭৫,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৩০ লক্ষেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রায়শই জাতিগত সংখ্যালঘু বেসামরিক নাগরিক বা চাউং-ইউ টাউনশিপের মতো সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করেছে, যেগুলি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির শক্ত ঘাঁটির কাছাকাছি।
