মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তার জন্য ‘মানবিক করিডর’ তৈরি হলে বাংলাদেশ প্রক্সি ওয়ারে জড়িয়ে পড়তে পারে; এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি।
দলটি দেশটির জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে মানবিক করিডর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
রাখাইন সীমান্তে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর এই অঞ্চল দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে।
নতুন রাষ্ট্র গঠনের আলোচনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতের স্বার্থ নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে রাখাইন মানবিক করিডর দেওয়ার আলোচনা চলছে, যা নিয়ে সরকারের অবস্থানের বিরোধিতা করছে দেশটির অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।
এর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে তুলে দেওয়া নিয়েও বিতর্ক চলছে।
এসবের বিরোধিতা করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর ও মানবিক করিডরের সাথে দেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
তার ভাষ্য, “সরকার ও সরকারে থাকা কিছু মানুষের কাজে দেশে নতুন সংকট তৈরি হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম বন্দর ও মানবিক করিডর ইস্যুতে সরকার কি করছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সিপিবি৷