ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে দুই দিক থেকে এগিয়ে আসছে। এতে শহরের বাসিন্দা এবং ছিটমহলে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা উপকূলের দিকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাদাভ শোশানি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের উপর চাপ প্রয়োগের লক্ষ্যে পদাতিক, ট্যাঙ্ক এবং কামান বিমান বাহিনীর সহায়তায় অভ্যন্তরীণ শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে বলছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের মাঝখানে আটকে রেখে” শহরের পশ্চিমে ঠেলে দিচ্ছে, যেখানে দক্ষিণে যাওয়ার জন্য আল-রশিদ উপকূলীয় সড়কটি অবস্থিত।
এই পরিস্থিতিতে জনাকীর্ণ এলাকাগুলিতে হামলা চালানোয় আতঙ্ক ও ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে এবং মানুষ তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে বাধ্য হচ্ছে।
গাজার শহরের বাসিন্দারা আল জাজিরাকে অবিরাম হামলার কথা জানিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে “ড্রোন এবং যুদ্ধবিমানের বিমান হামলা” এবং রিমোট-নিয়ন্ত্রিত “রোবট” থেকে বিস্ফোরণ।
এদিকে, গাজার চিকিৎসা সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। যারমধ্যে গাজা শহরের বাইরে, ছিটমহলের অন্যান্য অংশে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। প্রস্তাবটিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছিল।
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, ইসরাইলের সামরিক অভিযানের বেপরোয়া সম্প্রসারণ এমন একটি চুক্তি থেকে আরও দূরে নিয়ে যাচ্ছে যা জিম্মিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে এবং গাজার দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে পারে।
