জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরাইল গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। একদিনে হামলায় আরো ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরমধ্যে গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলি আশ্রয় নেওয়া আল আহলি স্টেডিয়ামে হামলায় কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে সাতজন নারী এবং দুই শিশু রয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা গাজায় ইসরাইল সন্ত্রাস কর্মকাণ্ড বন্ধ ও ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র যেতে বাধ্য করায় সতর্ক করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির দাবি করেন, ফিলিস্তিনিদের “তাদের নিরাপত্তার জন্য” দক্ষিণ দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু জাতিসংঘের তদন্তকারীরা ইসরাইলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই সপ্তাহে একটি তদন্ত কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজার ওপর ইসরাইলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আলোচনায় প্রাধ্যন্য পেয়েছে এবং বিশ্ব নেতারা ইসরাইলের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষের যন্ত্রণার প্রতি যদি কোন সহানুভূতি না থাকে, তাহলে মানুষ নামের সাথে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। যেসব অপরাধী শিশুদের হত্যা করে ধমক দেয় তারা ‘মানুষ’ নামের যোগ্য নয় এবং তারা কখনই বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রমাণিত হবে না।”
সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি আহমদ আল-শারাও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন। নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড আল জাজিরাকে বলেছেন, জুলাই মাসে ১৪২টি রাষ্ট্র, কর্তৃক অনুমোদিত “নিউইয়র্ক ঘোষণা” রোডম্যাপের উপর ভিত্তি করে সংঘাতের অবসানের জন্য নীরব আলোচনা চলছে।
