থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষে নিহত ১৫, বাড়ি ছাড়া লাখো মানুষ

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ১৪ জন এবং কম্বোডিয়ায় আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এমনকি, চলমান সহিংসতায় সীমান্তের উভয় পাশে বসবাসকারী ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ অন্যত্র চলে গেছেন।

হামলায় উভয় দেশ ভারী কামান এবং রকেট হামলা চালাচ্ছে। যা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘর্ষ।

সংঘর্ষ নিয়ে বিস্ফোরক বার্তা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত থাই প্রধানমন্ত্রী থুমথাম ওয়েচায়াই। তিনি বলেন, আস্তে আস্তে পরিস্থিতি আরও তীব্র হচ্ছে এবং যা যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেছেন, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (আসিয়ান) চেয়ারপারসন আনোয়ার ইব্রাহিমের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সমর্থন করেছেন। তবে, থাইল্যান্ড প্রাথমিকভাবে সম্মতকে তিনি দুঃখজনক বলে যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার সমর্থন প্রত্যাহার করেন।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের সাথে নীতিগতভাবে থাইল্যান্ড একমত এবং পরিকল্পনাটি বিবেচনা করবে, তবে এটি অবশ্যই ‘উপযুক্ত স্থল পরিস্থিতির’ উপর ভিত্তি করে হতে হবে।

সংঘর্ষটি শুরু হয় বৃহস্পতিবার একটি বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্তে সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধ চলছে। ছোট অস্ত্রের গুলির লড়াই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কমপক্ষে ছয়টি অঞ্চলে ভারী গোলাগুলিতে।