ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে প্রকাশ্যে ও গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ একথা জানান।
শুক্রবার ঢাবির ১৮টি হলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদেই মেয়েদের হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের ছাত্রীরা হলের ফটকের তালা ভেঙ্গে বেরিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেন। পরে সব শিক্ষার্থীরা জড়ো হন ভিসির বাসভবনের সামনে।
পরে আন্দোলনের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে। এই নীতিমালার অধীনে স্ব স্ব হল প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গেও এবিষয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ পরে ঘোষণা দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।
এই ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হাততালি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং স্লোগান দেন— ‘এই মুহূর্তে খবর এল, হল পলিটিকস নিষিদ্ধ হলো।’ তিনটার পরে শিক্ষার্থীরা যার যার হলে ফিরে যান।
