গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বুরকিনা ফাসোতে ইউরোপীয় এনজিও কর্মী গ্রেপ্তার

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে ইউরোপের একটি মানবিক সংস্থার হয়ে কাজ করা আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সংস্থাটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তামন্ত্রী মাহামাদু সানা বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃত আটজন নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক মানবিক নিরাপত্তায় বিশেষজ্ঞ একটি গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক এনজিও সেফটি অর্গানাইজেশন (আইএনএসও) -এর হয়ে কাজ করতেন।

আটককৃতদের মধ্যে একজন ফরাসি পুরুষ, একজন ফরাসি-সেনেগালিজ নারী, একজন চেক পুরুষ, একজন মালি এবং চারজন বুরকিনাফে নাগরিক রয়েছেন।

নিরাপত্তামন্ত্রী মাহামাদু সানা আরো বলেন, “অনুমোদন ছাড়াই সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের” অভিযোগে তিন মাস ধরে নিষিদ্ধ থাকার পরেও কর্মীরা সংগঠনটির জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আইএনএসও কর্মীরা জাতীয় নিরাপত্তা এবং বুরকিনা ফাসোর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন সংবেদনশীল নিরাপত্তা তথ্য সংগ্রহ করে বিদেশী শক্তির কাছে হস্তান্তর করেছেন”।

এদিকে, মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের হেগ-ভিত্তিক মানবিক সংস্থাটি একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোতে তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অভিযোগগুলিকে “স্পষ্টভাবে” প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র মানবিক কর্মীদের নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সংস্থাটি যে তথ্য সংগ্রহ করে তা গোপনীয় নয় এবং জনসাধারণের কাছে ইতিমধ্যেই পরিচিত।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার পশ্চিমা বিশ্ব থেকে, বিশেষ করে তার প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্স থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।