সবচেয়ে ভালো গরমকালে কোথাও ঘুরতে না গেলে। কিন্তু বছরের বড় অংশ জুড়েই তো গরম থাকে! এই সময়ে ছোট বড় ছুটিও মিলে যায়। ফলে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কোথাও না কোথাও যেতে ইচ্ছে হয়।
আজকের পরামর্শ তাদের জন্য, যারা গরমে কোথায় যাবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
শুরুতেই বলে নেই, গরমে যেখানেই যান না কেন; ভ্রমণ ততটা স্বস্তির হয়তো হবে না। কারণ এই সময়ের ভ্যাপসা আবহাওয়া এমনিতেই বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এলাকা পরিবর্তন করলে ঠাণ্ডা-জ্বরসহ নানা অসুখও সহজে পেয়ে বসে।
গরমের আরেক বিপদ হুটহাট বৃষ্টি নেমে যাওয়া। বৃষ্টি শুরু হলে আপনার দিনের ঘুরাটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই গরমে ভ্রমণে বেরুনোর আগে ভালো করে ভেবে নিন।
গরমের ঝামেলা এড়াতে আপনার এক নম্বর পছন্দের স্থান হতে পারে রিসোর্ট। সেজন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে ছায়া-সুশীতল কোন রিসোর্ট। গরমে ঘুরতে বেরুনোর জন্য এরচেয়ে ভাল স্থান আর হতে পারে না।
রিসোর্টগুলো মূলত গাছ-গাছালিতে পূর্ণ থাকে। বড়সড় জায়গা নিয়ে করায় পর্যাপ্ত বাতাসও পাবেন। এসি রুম তো আছেই। সঙ্গে রিসোর্টে ঘুরার জন্য আজকাল অভ্যন্তরীণ গাড়ি ফ্রিতেই পাওয়া যাচ্ছে।
ফলে ভরদুপুরের সময়টা কাটিয়ে নিন রিসোর্টের এসি রুমে। দুপুর, বিকাল ও রাতের সময়টায় রিলাক্স করুন রিসোর্টের সাজানো-গুছানো সৌন্দর্য দেখে। রিসোর্টের গাড়ি ব্যবহার করে ঘুরলে সহজেই ক্লান্ত হবেন না, গরমও কম অনুভব হবে।
এছাড়া গরমে আরাম পেতে সুইমিং পুলে ঝাপাঝাপি করে নিতে পারেন।
যেসব এলাকায় তাপমাত্রা কম থাকে, ভ্রমণের জন্য সেসব স্থান বেছে নিতে পারেন- গরমের ভ্রমণের জন্য। কিছু স্থান থাকে, যেখানে তাপমাত্রা বেশি থাকে- ভ্রমণ পরিকল্পনা থেকে সেসব এলাকা আগেই বাদ দিন। গরমে ভ্রমণ করতে চাইলে তা খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ে জন্য হওয়াই ভালো।
ভ্রমণের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। সুতির হালকা কাপড় পরুন, মুখে সানস্ক্রিণ মেখে নিন। মাথায় টুপি পরে নিন। তাহলে কিছুটা হলেও আরাম পাবেন।
এরপরও সতর্কতা হিসেবে ঠাণ্ডা, জ্বর, বমি, পাতলা পায়খানার ঔষধ সঙ্গে রাখুন। অতিরিক্ত গরমে ছায়ায় থাকুন।
সম্ভব হলে গণপরিবহন বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করুন। তাহলেও গরমের কষ্ট কিছুটা কমবে।