যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ওই বাংলাদেশি একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
বন্দুকধারী হামলাকারী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিডটাউন ম্যানহাটনের ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউতে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, বন্দুকধারীর নাম শেন তামুরা। তিনি লাস ভেগাসের বাসিন্দা। তার মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পূর্ব ইতিহাস রয়েছে। তবে কী কারণে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তিনি গুলি চালানোর পর আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে, নিহতদের একজন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ছুটিতে থাকা কর্মকর্তা এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম (৩৬)। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিন বছর ছয় মাস কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা এবং তার দুটি ছোট সন্তান রয়েছে।
সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি পার্ক করা একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে এম৪ রাইফেল হাতে নিয়ে ভবনের দিকে এগিয়ে যায়। ভবনে ঢুকেই সে পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গুলি চালায় এবং আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করা এক নারীকে গুলি করে। এরপর লবিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
পুলিশ জানায়, বন্দুকধারী পরে এলিভেটরের দিকে যায় এবং নিরাপত্তা ডেস্কের পেছনে লুকিয়ে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মী ও লবিতে থাকা আরও একজনকে গুলি করে। এরপর সে ভবনের ৩৩ তলায় উঠে একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে একজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ জানায়, বন্দুকধারীর গাড়ি থেকে একটি রাইফেল কেস, একটি রিভলভার, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পর নিউইয়র্ক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পার্ক অ্যাভিনিউর ওই অফিস ভবনে গিয়ে উপস্থিত হন। ভবনটিতে দেশের শীর্ষ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) অফিস রয়েছে।