বিদেশে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে তরুণদের রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
এ সংক্রান্ত মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।
দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধে জড়ানোর ফলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার ব্যাপক সৈন্য মারা গেছেন। ঘাটতি মেটাতে উভয় দেশই বিভিন্ন দেশের ভাড়াটে যোদ্ধাদের এনে সম্মুখ সমরে পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকেও যে এ ধরণের যোদ্ধা রাশিয়ায় যাচ্ছে, সিআইডির তথ্যে তা সামনে আসলো।
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থাটি বলছে, চকলেট ফ্যাক্টরি, ক্লিনার অথবা বাবুর্চির কাজের লোভ দেখিয়ে তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করতো মানবপাচারকারী চক্রটি।
অভিযুক্ত বাংলাদেশী নাগরিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির তথ্যমতে, এই চক্রের সদস্যরা রাশিয়ায় মাসে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা বেতনে চাকরির কথা বলে ১০ জনকে প্রথমে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব পাঠায়। সেখানে তাদেরকে ওমরাহ হজ করানোর পর রাশিয়ায় নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। পরে তাদেরকে রাশিয়ান সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেখানে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়। এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, যুদ্ধে নাটোর সিংড়া থানার এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঢাকার কেরানীগঞ্জের একজন গুরুতর আহত হন। এচাড়া নরসিংদীর পলাশ থানার একজন বাসিন্দা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।