বাংলাদেশে ক্ষমতা হারানোর সাড়ে ৯ মাস পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমের সামনে এসেছেন।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য এমন সময়ে গণমাধ্যমে এসেছে, যখন দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকারের দূরত্ব বাড়ার মধ্যেই ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভারতের একটি গণমাধ্যম সোমবার রাতে ওবায়দুল কাদেরের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।
সাক্ষাৎকারটি প্রচারের পর থেকেই লাখো মানুষ তা দেখে ফেলেছেন, হাজারো মানুষ মন্তব্যও ছুড়ে দিয়েছেন।
এসব মন্তব্যে অনেকে আওয়ামী লীগ ও ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করলেও রাজনীতিবিদ হিসেবে তার বক্তব্য আগের মতোই আগ্রহের কেন্দ্রেই থাকছে।
দ্য ওয়ালের নির্বাহী সম্পাদক অমল সরকার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন।
গণমাধ্যমটির ডিজিটাল প্লাটফর্মে ওবায়দুল কাদেরের অডিও সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভুল করে থাকলে ভারতে বসে নয়, দেশে গিয়ে ক্ষমা চাইবো।”
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরই ওবায়দুল কাদেরকে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে মনে করা হতো।
গেল ৫ আগস্ট দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর পর আর ওবায়দুল কাদেরের দেখা মেলেনি।
ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন, কিভাবে দেশ ছেড়েছেন- তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন থাকলেও কাদেরের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
অথচ ক্ষমতায় থাকাকালে ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সকাল-বিকাল ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য সংগ্রহে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
প্রচারপ্রিয় সাবেক এই মন্ত্রী দীর্ঘ বিরতির পর সাক্ষাৎকারে জানালেন, ক্ষমতা হারানোর পরও তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর পর বাংলাদেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। লুটপাট, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি মব সৃষ্টি করে অসংখ্য মানুষকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
ওবায়দুল কাদেরের দাবি, সে সময় তিনি যে বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানেও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল।
“৫ থেকে ৭ ঘণ্টা তখন বাথরুমে লুকিয়ে ছিলাম, তারা জানতো না আমি সে বাড়িতে আছি; লুটপাট করতে গিয়েছিল” বলেন ওবায়দুল কাদের।
