ফুটবলের মহাতারকা ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার বর্ণময় জীবন ছিল বিতর্কে ভরা। নানা বিতর্ক তাকে আলোচনায় রেখেছে ফুটবল ছাড়ার পরও।
মৃত্যুর পরও আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে ঘিরে বিতর্ক আর আলোচনা থামছে না।
২০২০ সালে ৬০ বছর বয়সে মারা যান সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তখন বলা হয়েছিল, তার মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
তবে ঘটনা সেখানে থামেনি। ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ তুলে করা মামলায় এই ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
আর্জেন্টিনায় মামলাটি বিচারের দায়িত্বে ছিলেন তিনজন বিচারক, তাদের একজন জুলিয়েতা মাকিনটাচ মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। এর ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু সংক্রান্ত মামলাটির ভবিষ্যৎই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ম্যারাডোনার মৃত্যু এবং তার পরবর্তী ঘটনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্রে তার অংশ নেওয়ার খবর সামনে আসার পর তিনি মামলাটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
তথ্যচিত্রে এই বিচারকের অংশ নেয়াকে ‘একটি বিচারিক ট্র্যাজেডি’ বলে মন্তব্য করেছেন ম্যারাডোনার মেয়ে ডালমা এবং জিয়ানিনার আইনজীবী ফার্নান্দো বার্লান্ডো।
কারণ বিচারকাজ চলাকালীন বিচারকদের সাক্ষাৎকার কিংবা জনসম্মুখে কোন মন্তব্য করাকে নিষিদ্ধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
গেল ১১ মার্চ থেকে মাকিনটাচ তিন বিচারকের প্যানেলের অংশ ছিলেন। ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলিতে তার সেবা করা ৭ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর ভাগ্য নির্ভর করছিল এই প্যানেলের রায়ের ওপর।
ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর এই সাতজনের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনায় একজন জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচিত হন। ১৯৮৬ সালে অনন্য নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে দেশটির মুখচ্ছবি হয়ে ওঠেন। আর্জেন্টাইনরাও ম্যারাডোনাকে নিজেদের সবচেয়ে আপনজন হিসেবে বিবেচনা করেন।
এমন একজন ব্যক্তির মৃত্যুর অবহেলাজনিত হত্যার মামলা আর্জেন্টিনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে।