মুহাম্মদ ফেরদাউস, কক্সবাজার
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য ৩ জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘বাঁশ’ একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে জনপ্রিয়।
পর্যটন এলাকা হিসেবে এসব অঞ্চল জনপ্রিয় হওয়ার পর পর্যটকদের কাছেও ‘শৌখিন খাবার’ হিসেবে বাঁশ বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে।
দেশে বাঁশের যত প্রজাতি আছে, সবগুলোই রান্নার প্রকারভেদ হিসেবে সুস্বাদু ও মজাদার হয়।
অঞ্চলভেদে বা একই এলাকায় ভিন্ন ভিন্নভাবে এটিকে সবজি হিসেবে রান্না করা হয়।
বাঁশ রান্নার নিয়ম
যেকোন কঁচি বাঁশের মুখটি প্রথমে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিতে হবে। এরপর হালকা লবণ-হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে।
এরপর গরুর মাংস বা চিংড়ি মাছের সঙ্গে সবজির মতো মাখা মাখা করে বাঁশ রান্না করা হয়ে থাকে।
মুখরোচক এই খাবারটি যত সময় যাচ্ছে, তত জনপ্রিয় হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের বাসিন্দারা মনে করেন, পর্যটনের বিকাশের কারণেই মূলত বাঁশের তরকারি দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছে।
ইদানিং পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষ করে সাজেক, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ পর্যটকরা এখানকার হোটেল-রেস্তোরাঁয় এই খাবারের স্বাদ নেন।
পর্যটকরা ‘শৌখিন খাবার’ হিসেবে বাঁশের স্বাদ নিলেও এটি ছিল মূলত এ অঞ্চলের মানুষের একটি সাধারণ প্রত্যাহিক খাবারের অংশ।
পর্যটনের সুবাদে সারা দেশের মানুষ এখন এই খাবারটি গ্রহণ করে থাকেন।
এই অঞ্চলের বাজারগুলোতে মৌসুমী সবজি হিসেবে বাঁশ বিক্রি হয়ে থাকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বাড়িতে বাড়িতে নিয়মিত খাবার হিসেবে বাঁশ রান্না হয়।
