টি-টুয়েন্টিতে এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। অন্যান্য দেশের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও কখনও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতা হয়নি টিম টাইগার্সের। এবার সেই কাজটিই করল লিটন দাসের দল। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লিটন দাসের দল। গত সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ও তাদের মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আঘা। নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানের সংগ্রহ গড়ে টিম টাইগার্স। জবাবে নেমে ১৯.২ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের পথে বেশ ভুগিয়েছে অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। অন্যান্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে ৩১ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। অবশ্য রিশাদ হোসেনের বলে আউট হওয়ার আগে প্রায় জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি। ৮ রানে জয়ের সাথে প্রথমবার টি-টুয়েন্টিতে সিরিজ জিতে ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
লক্ষ্যতাড়ায় পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরু থেকেই চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৫ রানে সফরকারীদের ৫ উইকেট তুলে নেয় টিম টাইগার্স। ফিরে যান সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, ফখর জামান, হাসান নেওয়াজ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫ রান যোগ করেন সালমান আঘা ও খুশদিল শাহ। ৯.২ ওভারে দলীয় ৩০ রানে সালমান ফেরেন ৯ বলে ২৩ রান করে।
অষ্টম উইকেটে ফাহিম ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে যোগ করেন ২৭ বলে ৪১ রান। ১৬.১ ওভারে দলীয় ৮৮ রানে আফ্রিদিকে বোল্ড করেন শরিফুল। দুই চার ও এক ছক্কায় ১৩ বলে ১৯ রান করেন। পরে আহমেদ ড্যানিয়েলকে সঙ্গী করে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ফিফটি পূর্ণ করেন ফাহিম। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ৩১ বলে ফিফটির পথে ছিল চারটি করে চার ও ছক্কার মার। পরের বল তাকে বোল্ড করেন রিশাদ। ৩২ বলে ৫১ রান করেন।
এর আগে ব্যাটে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিমকে বসিয়ে একাদশে সুযোগ দেয়া নাঈম শেখ সুবিচার করতে পারেননি। ৭ বলে ৩ রান করে ফিরে যান ফাহিম আশরাফের বলে মোহাম্মদ হারিসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে। ২৫ রানে জোড়া উইকেট হারায় টিম টাইগার্স। লিটন ৯ বলে ৮ রান করে ফিরে যাওয়ার পর রানআউট হয়ে তাওহীদ হৃদয় ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।
প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা ইমন ফিরে যান ১৪ বলে ১৩ রান করে। চাপে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেন জাকের আলি অনিক ও শেখ মেহেদী হাসান। পঞ্চম উইকেটে ৪৯ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে চাপ কাটিয়ে তোলেন। ৯৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। আহমেদ ড্যানিয়েলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
৪ বলে ৭ রান করা তানজিম সাকিব ফিরে যান সালমান মির্জার শিকার হয়ে। ১১১ রানে রিশাদ ফিরে যান। ৪ বলে ৮ রান করে আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হন। রানআউট হয়ে ফেরেন ২ বলে ১ রান করা শরিফুল। পরের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টুয়েন্টি ফিফটি পূর্ণ করেন জাকের। ৪৬ বলে ফিফটির পথে ছিল এক চার ও ৫ ছক্কার মার। ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ দেন জাকের। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৩ রানে।
পাকিস্তান বোলারদের মধ্যে আহমেদ ড্যানিয়েল, আব্বাস আফ্রিদি ও সালমান মির্জা দুটি করে উইকেট নেন।