গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। প্রভাব বা পদমর্যাদা যা–ই হোক না কেন, জড়িত কোনো ব্যক্তি জবাবদিহি থেকে রেহাই পাবে না বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষে সাহসী ভূমিকা রাখা রাজনীতিবিদ নুরুল হকের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের সহিংসতা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জাতিকে একত্র করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিটের ওপরেও আঘাত বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রভাব বা পদমর্যাদা যা–ই হোক না কেন, জড়িত কোনো ব্যক্তি জবাবদিহি থেকে রেহাই পাবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক এবং তাঁর দলের অন্যান্য আহত সদস্যদের চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানো হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ইচ্ছা জয়ী হবে, কোনো অশুভ শক্তিকে গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে দেওয়া হবে না।
